জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধিতে কড়াকড়ি, ভিসির সাক্ষাতে বিধিনিষেধ

প্রকাশিতঃ 8:32 pm | June 17, 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক, কালের আলো:

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি আবারও বাড়তে থাকায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে জারি করা হয়েছে নতুন সতর্কতামূলক নির্দেশনা। ভাইস-চ্যান্সেলরের দপ্তর মূল ক্যাম্পাস ও নগর কার্যালয়ে সরাসরি সাক্ষাৎ সীমিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে সাক্ষাৎপ্রার্থীদের অবশ্যই মাস্ক পরিধান করে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল হোসেনের সই করা এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

আদেশে উল্লেখ করা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত করোনাভাইরাস সংক্রমণের অব্যাহত ঝুঁকির প্রেক্ষিতে ভাইস-চ্যান্সেলরের উভয় কার্যালয়ে (মূল ক্যাম্পাস ও নগর কার্যালয়) এপয়েন্টমেন্ট সীমিত থাকবে। সাক্ষাৎপ্রার্থীদের অবশ্যই মাস্ক পরিধান করে আসতে হবে।

একইসঙ্গে গত ১২ জুন জারি করা আগের অফিস আদেশও কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়েছে। ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের দাপ্তরিক সভা সরাসরি নয়, অনলাইনে— বিশেষ করে জুম প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব দপ্তরে মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। উপাচার্য, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর এবং ট্রেজারারের দপ্তরে প্রবেশের ক্ষেত্রেও মাস্ক ছাড়া প্রবেশ নিষিদ্ধ।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, যেকোনো দপ্তরে তিনজনের বেশি একত্রিত হওয়া যাবে না। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে কেউ করোনার উপসর্গে ভুগলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সার্ভিসেস দপ্তর অথবা আইইডিসিআরের হটলাইনে (০১৪০১-১৯৬২৯৩) যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ অনুযায়ী কোভিড পরীক্ষা করাতে হবে। পরীক্ষার ফল দ্রুত প্রশাসনকে জানানো বাধ্যতামূলক।

সেবাগ্রহীতাদের ক্ষেত্রেও একইভাবে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাস্ক পরিধান ও নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে লাইন ধরে সেবা নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা দপ্তরকে নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

ওই চিঠির নির্দেশনাটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ডিন, বিভাগীয় প্রধান, আঞ্চলিক কেন্দ্র, তথ্য প্রযুক্তি দপ্তরগুলোতেও পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের শুরুর দিকে বাংলাদেশে প্রথম কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়। এরপর কয়েক দফায় সংক্রমণ বেড়ে জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ে। তখন সরকারি পর্যায়ে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও জনসমাগম এড়ানোর মতো বিধিনিষেধ চালু করা হয়। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সংক্রমণ হার কমে আসায় এসব নিয়ম কিছুটা শিথিল হয়।

সম্প্রতি দেশে আবারও কোভিড-১৯ সংক্রমণের হার কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এ অবস্থায় আগেভাগেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পক্ষে মত দিচ্ছেন।

কালের আলো/এসএকে